খুলনা, বাংলাদেশ | ১ মাঘ, ১৪৩১ | ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  রেস্তরাঁয় ধার্য করা নতুন ভ্যাট পুনর্বিবেচনার আশ্বাস এনবিআরের
  ২০১৮ সালের নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনার সুপারিশ : ইসি সংস্কার প্রধান
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের সুপারিশ

গেজেট ডেস্ক

সংবিধান থেকে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই পুনরায় ফিরিয়ে এনে আগামী জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সেইসঙ্গে নির্বাচনী মামলায় হাইকোর্টের চাপ কমাতে জেলা পর্যায়ে সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল গঠন ও কোনো অপরাধের কারণে নির্বাচন কমিশনকেও আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচনী অপরাধ/কমিশনের অপরাধের বিষয়ে যে সুপারিশ এসেছে

(ক) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনী মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনী বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।

(খ) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ বা অনিয়ম আইনের আওতায় আনার জন্য প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(গ) সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনপূর্বক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে কমিশনের অনুমতির বিধান বহাল রাখলেও তদন্ত বা অনুসন্ধান করতে আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা।

(ঘ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯০ ধারায় ৭৩ ও ৭৪ ধারার অধীনে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা শিথিল করা।

(ঙ) নির্বাচনী অপরাধ বিষয়ক মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা পরিহারের লক্ষ্যে নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা। ফলে একদিকে যেমন দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করা যাবে, অন্যদিকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

(চ) ২০১৮ সালের জালিয়াতির নির্বাচনের দায় নিরূপণের জন্য একটি ‘বিশেষ তদন্ত কমিশন’ গঠন করা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা

(ক) প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মেয়াদ চারমাস নির্ধারিত করে এবং এ মেয়াদকালে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন সম্পন্ন করা।

(খ) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে সরকার পরিচালনায় রুটিন কার্যক্রমের বাইরেও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিবিধানের সংস্কার এবং প্রশাসনিক রদবদলের বিধান করা।

(গ) স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম চূড়ান্ত করার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান এবং অন্য ২০ জন উপদেষ্টাকে নিয়োগের বিধান করা।

এই সুপারিশগুলো বিভিন্ন রাজনৈদিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!